কম্পিউটারের প্রজন্ম – তৃতীয় (১৯৬৫ থেকে ১৯৭১)
১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি কম্পিউটারের প্রজন্মে এক রেভুলিউশন (Revolution) ঘটে যায়। এই সময় কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয় আইসি বা ইনটিগ্রেটেড সার্কিট (Integrated Circuit-IC) । এই ইনটিগ্রেটেড সার্কিট আসলে একাধিক ট্রানজিস্টরের সমন্বিত রূপ। সেমিকন্ডাক্টর বা সিলিকনের একটি ক্ষুদ্র অংশের ওপর একাধিক ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে তৈরি করা হয় সমন্বিত সার্কিট বা ইনটিগ্রেটেড সার্কিট।
যদিও, ১৯৫৫ সাল থেকেই উইলিয়াম শকলে (William Shockley) নিজের প্রতিষ্ঠান শকলে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানীতে এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছিলেন আরও কয়েকজন প্রতিভাবান গবেষকদের সমন্বয়ে।
পরবর্তী সময়ে উক্ত কোম্পানীর জনৈক গবেষক রবার্ট নইসী (Robart Noyce) এবং তার এক সহযোগী জ্যাক কিলবি (Jack Kilby) সহ কয়েকজন গবেষক নিজেরাই ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর নামে একটি কোম্পানী খুলে আইসি বা ইনটিগ্রেটেড সার্কিট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রবার্ট নইসি ও জ্যাক কিলবির তত্ত্বাবধানে প্রথম সার্থকভাবে তৈরি হয় আইসি বা ইনটিগ্রেটেড সার্কিট (Integrated Circuit-IC)। অল্প জায়গাতে একাধিক ট্রানজিস্টর ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের আকার ও আকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। সেই সাথে কাজের গতি বেড়ে যায় আগের চেয়ে অনেক বেশি।
Related: শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার কম্পিউটার – ২য় পর্ব
এইসময় কম্পিউটারের উন্নয়নের পাশাপাশি এর ফলাফল বা আউটপুট প্রদর্শনের জন্যও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারই ফলশ্রুতিতে মুদ্রিত আকারে আউটপুট পাওয়ার জন্য একধরনের লাইন প্রিন্টারের ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়া প্রথমবারের মত ভিডিও প্রদর্শনের জন্য Video Display Unit-এর প্রবর্তন শুরু হয়। অর্থাৎ মনিটরের ব্যবহার এই সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এইসময় ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কীবোর্ড এবং মাউসের ব্যবহার সম্পর্কেও গবেষণা ও কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলো আকারে ছোট এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের উপযোগী হওয়ার কারণে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যায় রাতারাতি। এইসময়ের কম্পিউটারগুলোর উদাহরণ হলো- GE-600, IBM-360, IBM-370, PDP-8, PDP-II, ICL-1900, VAX-750 ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যাবলী
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী লক্ষ্যনীয়।
(১) ইনটিগ্রেটেড সার্কিটের ব্যবহারের ফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পাওয়া।
(২) কম্পিউটারের আকার ছোট হওয়া ও বিদ্যুতের খরচ কম হওয়া এবং সেই সাথে মূল্য কমে যাওয়া।
(৩) আউটপুটের জন্য Video Display Unit, Line Printer ব্যবহার।
(৪) উচ্চমাত্রিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহার এবং কম্পিউটারের BASIC (Beginners All Purpose Symbolic Instruction Code) ভাষার প্রচলন শুরু।
(৫) সেমিকন্ডাক্টর মেমোরীর ব্যবহারের ফলে নির্দেশ প্রদান ও নির্দেশ প্রক্রিয়াজাতকরণের গতি দ্রুততর হওয়া।
কম্পিউটারের প্রজন্ম – চতুর্থ (১৯৭১ থেকে বর্তমান)
আমরা আমাদের চোখের সামনে যে ধরনের কম্পিউটার দেখতে পাচ্ছি এটাই হলো চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার। এই প্রজন্মের কম্পিউটার বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের নাগালের মধ্যে ১৯৭৫ সাল থেকে প্রবর্তিত হলেও ১৯৭১ সাল থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য তারও আগে ১৯৬৫ সালে যখন ইনটিগ্রেটেড সার্কিটের প্রবর্তন শুরু হয় তখন থেকেই সিলিকন পাতের উপর ট্রানজিস্টর স্থাপনের সংখ্যা দিনে দিনে আরও বাড়তে শুরু করেছিল।
Related: শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার কম্পিউটার – ১ম পর্ব
সমসাময়িক কালে আমেরিকার ইনটেল কর্পোরেশনের প্রতিভাবান গবেষক ফেডেরিকো ফ্যাগিন ও টড হফ এবং বুশকমের মাসাটুশি সিমা যৌথভাবে উদ্ভাবন করেন ক্যালকুলেটরে ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোপ্রসেসর মেমোরি চিপ। মূলত তখনই কম্পিউটার দুনিয়ায় ঘটে যায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রেভুলিউশন। আবিষ্কৃত হলো মাইক্রোপ্রসেসর।
এটাও এক ধরণের ইনটিগ্রেটেড সার্কিট তবে এটাকে বলা হয় লার্জ স্কেল ইনটিগ্রেটেড সার্কিট বা Large Scale Integrated Circuit (LSIC)। কারণ, সিলিকনের একটি ছোট টুকরো (এক বর্গইঞ্চি)-এর ওপর কয়েক হাজার (এখন আরও বেশি) ট্রানজিস্টর সমন্বিত একটি সার্কিট হলো মাইক্রোপ্রসেসর। ছোট আকারের একটি সিলিকন চিপের ওপর কম্পিউটার পরিচালনার জন্য ইনপুট ও আউটপুট বিষয়ে বিভিন্ন গাণিতিক ও যৌক্তিক বিষয়গুলো প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ নির্বাহের উপযোগি ট্রানজিস্টরগুলো স্থাপন করা থাকে। ফলে একই সাথে কম্পিউটারের আকার আয়তনের হ্রাস ঘটে পাশাপাশি কম্পিউটারের কাজের গতি বেড়ে যায় কয়েক লক্ষ্য গুন বেশি।
মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের পর থেকে সত্যিকার অর্থে যেন নড়েচড়ে ওঠে কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। হার্ডওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও উন্নয়ন ঘটাতে থাকেন সফটওয়্যারের। এইসময় আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয় UNIX নামের অপারেটিং সিস্টেম। এরই সাথে কম্পিউটারের বিল্ট-ইন স্মৃতির উন্নয়ন ঘটে। ROM (Read Only Memory), PROM (Programmable Read Only Memory), EPROM (Erasable Programmable Read Only Memory) সম্পর্কে এইসময়ে গবেষণা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে এগুলো সার্থকভাবে ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।
Related: মোবাইল ফোন কি এবং কিভাবে কাজ করে
কম্পিউটারের প্রজন্ম মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহারে কম্পিউটার তৈরির ফলে কম্পিউটারের আয়তন অনেক অনেক ছোট হয়ে গেল। আর সেই সাথে কাজের গতি ও ক্ষমতা বেরে গেল কয়েক হাজার গুন। সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল কম্পিউটারের সূচনা ঘটলো মাইক্রোপ্রসেসর প্রবর্তনের ফলে। মাত্র কিছুদিন আগেও যেখানে একটি কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজন হত বিশাল আকারের একটি ঘর বা তারও বেশি জায়গা। মাইক্রোপ্রসেসর প্রবর্তনের ফলে কম্পিউটার ছোট হতে হতে একেবারে একজনের বহনযোগ্য হয়ে উঠলো। সেইসাথে বেড়ে গেল কাজের গতির হার অত্যন্ত দ্রুততার সাথে।
ইনটেল কর্পোরেশনের প্রথম চিপটির নাম ছিল Intel-4000। এরপর বাজারে আসে 12বিট প্রোগ্রাম এ্যাড্রেস সম্বলিত Intel-4004 নামের মাইক্রোপ্রসেসর চিপ। এই চিপের ক্ষমতা ছিল ১৯৪৬ সালের এনিয়াক কম্পিউটারের সমান। সেইসময় এই কম্পিউটারটি স্থাপনের জন্য লাগতো ৪০০ বর্গফুট জায়গা। এর ওজন ছিল 30টন। পাশাপাশি একই ক্ষমতাসম্পন্ন Intel-4004 নামের মাইক্রোপ্রসেসর চিপকে হাতের তালুতেই রাখা যেত অনায়াসে। এই চিপটি আবিষ্কারের পর ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর বাজারজাত করা হয়। প্রথমদিকে এই চিপের ওপর ২৩০০ ট্রানজিস্টর স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল। তারপর এই একই চিপের ওপর ৩৩০০ ট্রানজিস্টর স্থাপন করা হয়। এই চিপের পরবর্তী সংস্করণ ছিল Intel-8080। মূলত তারপর থেকেই ডিজিটাল কম্পিউটারের শুভসূচনা ঘটে।
Related: কেন মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
আমরা যারা আজ আমদের ডেস্ক বা টেবিলের ওপর শক্তিশালী ডিজিটাল কম্পিউটার ব্যবহার করছি বা আমরা আমাদের চারপাশে যেসব কম্পিউটার দেখতে পাই- সেই কম্পিউটারের মধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে মাইক্রোপ্রসেসর নামের শক্তিশালী ও সমন্বিত ইনটিগ্রেটেড সার্কিট। বর্তমানে আরও দ্রুতগতি সম্পন্ন কম্পিউটার আবিষ্কৃত হচ্ছে।
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
(১) আকারে ছোট ও সহজে বহন এবং স্থাপনযোগ্য এবং মূল্য ক্রয়সীমার মধ্যে।
(২) লার্জ স্কেল ইনটিগ্রেটেড সার্কিট বা Large Scale Integrated Circuit (LSIC) ব্যবহারে ফলে ব্যাপকভাবে তথ্য নিয়ে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
(৩) মাইক্রোপ্রসেসর থেকে মাইক্রোকম্পিউটারের ধারণা সৃষ্টি ও আবির্ভাব ঘটেছে। ফলে কম্পিউটারকে বহুমূল্য উপাদান থেকে ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।
(৪) বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম যেমন – ডস, ম্যাক, উইনডোজ, ইউনিক্স, লিনাক্স ইত্যাদির আবির্ভাব কম্পিউটারকে সাধারণ স্তরের মানুষের কাছে সহজে ব্যবহারযোগ্য হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
(৫) ROM, RAM, PROM, EPROM প্রভৃতি স্মৃতি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় একই সাথে অনেকগুলো সফটওয়্যার চালনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
কম্পিউটারের প্রজন্ম – পঞ্চম
কম্পিউটারের প্রজন্ম পঞ্চম বলতে বোঝায় ভবিষ্যতের কম্পিউটার। যদিও এখনও পর্যন্ত এটা গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। সুতরাং বলা কঠিন ভবিষ্যতের কম্পিউটার কেমন হবে। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, কৃত্রিম বুদ্ধি খাটিয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করার ক্ষমতসম্পন্ন হবে ভবিষ্যতের কম্পিউটার। এই কৃত্রিম বুদ্ধির অপরনাম Artificial Intelligence বা AI । এই বুদ্ধিমত্তা কম্পিউতারে সংযোজনের প্রক্রিয়া চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ন সাফল্য না আসলেও আংশিকভাবে কিছুটা সাফল্য দেখা গেছে বেশ কয়েকতী ক্ষেত্রে। বিশেষ করে বিভিন্ন মহাকাশ যাত্রায় আশাতীত সাফল্য লাভ করেছে বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে কিছুদিনের মধ্যে এই সাফল্যের হার শতকরা ষাট ভাগ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
মূলত Artificial Intelligence বা AI বিষয়টি এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। তবে এই সম্পর্কিত গবেষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যে, ভবিষ্যতের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটারগুলো নিজেরাই বুদ্ধি খাটিয়ে পরবর্তী কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে মানুষের কণ্ঠস্বর শুনে নির্দেশগুলো অনুধাবন করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কর্ম সম্পাদন করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে ভবিষ্যতের কম্পিউটার। পাশাপাশি এই প্রজন্মের কম্পিউটারের কাজের গতি, তথ্য ইনপুট, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং আউতপুটের ক্ষমতা সহ তথ্য ধারণ ক্ষমতা বর্তমান প্রজন্মের কম্পিউটারের থেকে লক্ষ্য কোটি গুন বেশি হবে।
আশা করা হচ্ছে এই কম্পিউটারের প্রজন্ম ভেরি লার্জ স্কেল ইনটিগ্রেটেড সার্কিট বা Very Large Scale Integrated Circuit (VLSIC) ব্যবহার করা হবে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে কয়েকশত কোটি সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা অর্জন করবে ভবিষ্যতের কম্পিউটার। সুতরাং হিসেব অনুযায়ী বর্তমানের কম্পিউটারে থেকে কয়েক কোটি গুন বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হবে ভবিষ্যতের কম্পিউটার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উন্নতবিশ্বে এই ধরনের কম্পিউটারকে বিশ্বের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সংযুক্ত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা। এছাড়া মানুষের অগম্য স্থানগুলোতে এই কম্পিউটার চালিত স্বয়ংক্রীয় রবোট প্রেরণ করার মাধ্যমে মানব সভ্যতার উন্নয়নের কাজ করা হবে। মহাকাশে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরিতে, কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট নির্মাণে ও সম্প্রসারণেরকাজে, গ্রহান্তরের অভিযানে, মহাসাগরের অতলে, পুরু বরফের নিচে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
(১) ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটারে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লক্ষ লক্ষ মাইক্রোপ্রসেসরের ব্যবহার করা হবে।
(২) এই প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধির বা Artificial Intelligence (AI)।
(৩) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাকার কারণে এই প্রজন্মের কম্পিউটারে বাড়তি নির্দেশের প্রয়োজন হবে না। ফলে নির্দেশের একটা প্যারালাল পদ্ধতির মাধ্যমে এই কম্পিউটার কাজ করতে পারবে।
(৪) মাল্টি প্রসেসিং ও মাল্টিটাস্কিং পদ্ধতির ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। ফলে একই কম্পিউটার দিয়ে একসাথে অনেক ধরনের কাজ করানো সম্ভব হবে।
(৫) বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের মুখের ভাষাকে নিজের ভাষায় রূপান্তর করে যে কোন নির্দেশাবলী পালনে সক্ষম হবে ভবিষ্যতের কম্পিউটারের প্রজন্ম !!!
সুত্রঃ বিজ্ঞানীদের জীবনি আবিষ্কারের কথা।